আবারও সিন্ডিকেট হলে আগের মতোই তিন থেকে চার লাখ টাকায় মালয়শিয়া যেতে হবে কর্মীদের। তাই সেই অবস্থায় ফিরে যেতে নারাজ সরকার। বিষয়টি নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে।
ইমরান আহমদ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : সমঝোতা স্মারক সই হবার পরও খুলছে না মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। এই সমঝোতার বাইরে গিয়ে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে কতিপয় এজেন্সিকে লোক পাঠানোর সুযোগ দেয়ার দাবি করা হলেও, সেই শর্ত মেনে নিতে রাজি নয় বাংলাদেশ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলছেন, আবারও সিন্ডিকেট হলে আগের মতোই তিন থেকে চার লাখ টাকায় মালয়শিয়া যেতে হবে কর্মীদের। তাই সেই অবস্থায় ফিরে যেতে নারাজ সরকার। বিষয়টি নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে।
গেলো ১৯ ডিসেম্বর কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ থেকে আবার কর্মী নিতে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলো।
যেখানে অভিবাসন ব্যয়সহ সকল খরচ বহন করবে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুই মাস পার এবং বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি হলেও কোন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কর্মী যাবে তা এখনেও ঠিক হয়নি।
এরই মধ্যে ২৫ এজেন্সি ও তাদের সহযোগি ২৫০ এজেন্সিকে লোক পাঠানোর জন্য তালিকাভুক্ত করেছে মালয়েশিয়া। যদিও এই বিষয়টি এক পাক্ষিক বলছে বাংলাদেশ। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জানান, সমঝোতার আলোকেই বিষয়টি একপাক্ষিক।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারো ঝুলে গেছে, এমনটা মানতে নারাজ তিনি। সবশেষ যে চিঠি দেয়া হয়েছে সেটির জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
মন্ত্রী জানান, যদি আবারও এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে হয়, তাহলে দেশটিতে যেতে সেই আগের খরচই ফিরে আসবে। যা এদেশ থেকে যারা যেতে ইচ্ছুক, তারা চায় না।
এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় তার দেশের কোম্পানিগুলোতে কতো এবং কোন খাতের লোক দরকার সে বিষয়ে চাহিদাপত্র আহবান করেছে।
সেই অনুযায়ি মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ দূতাবাসে চাহিদাপত্রও জমা দিচ্ছে। তবে সরকারের সবুজ সংকেত না থাকায় সেগুরৌ গ্রহণ করা হচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই অবশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের দালালরা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে টাকা সংগ্রহে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে।